ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। বৈশিক ক্ষুধা সূচকে এ বছর ১২৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৯ দশমিক ৪ স্কোর নিয়ে ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে; যা ‘মাঝারি মাত্রার’ ক্ষুধায় আক্রান্ত দেশ হিসেবে বিবেচিত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স এ সূচক প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর ১২৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১তম।
২০২২ সালে ১২১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৪তম, ২০২১ সালে ৭৬তম। ২০২০ সালে ১০৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম।
সূচক বলছে, বাংলাদেশে ক্ষুধার মাত্রা মধ্যম পর্যায়ে। তবে এখনও ১১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার। আর ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু তার পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করে। অপুষ্টির কারণে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর বয়স অনুপাতে উচ্চতা বাড়ছে না। এ ছাড়া ১১ শতাংশ পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ছে না বলেও উল্লেখ করা হয় সূচকে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৫৬তম। নেপালের অবস্থান ৬৮তম। এর পরই রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের অবস্থান ১০৫ আর পাকিস্তানের ১০৯তম।
এ বছরের ক্ষুধা সূচক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধার মাত্রা গুরুতর কারণ এ অঞ্চলে রয়েছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অপুষ্টি। দক্ষিণ এশিয়ার ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির মধ্যে আছে।
এ ছাড়া বিশ্বের ছয়টি দেশ বুরুন্ডি, শাদ, মাগাগাস্কার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক। ৩৬ দেশে ক্ষুধার মাত্রা রয়েছে গুরুতর পর্যায়ে। ২২ দেশে ক্ষুধার মাত্রা একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে আছে।
আন্তর্জাতিক/আবির
Facebook Comments