1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. mshc@hotmail.co.uk : ইউকে বিডি২৪ : ইউকে বিডি২৪
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
নোটিশঃ
#ঘরে_থাকুন, নিরাপদ থাকুন! নিয়মিত হাত পরিষ্কার করুন, অন্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন, সচেতন থাকুন।

মাকে হত্যায় দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

 

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জন্মদাতা মা ছালেহা খাতুনকে (৮০) মারধর করে হত্যার অভিযোগে ছেলে আবুল কালাম বাহারকে (৫০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিসনুল হক এ রায় দেন।

মৃত ছালেহা খাতুন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজিবাড়ির মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম বাহারের মা।

মামলার বিবরণ ও বাদী মো. রুহুল আমিন মিজির দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, আসামি আবুল কালাম বাহার এক সময় প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে আসার পর সে অনেক সময় এলোমেলো কথাবার্তা বলতেন। যার কারণে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। সেই বিভিন্ন সময়ে বাহার তার মাকে মারধর করতেন।

ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই রাতে মায়ের ঘরে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে মারধর করে বাহার। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে ঘরের স্টিলের দরজার আংটা মায়ের চোখে ঢুকে যায়। এ সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে লোকজন এগিয়ে এসে ছালেহা খাতুনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ছালেহা খাতুনের জামাতা মো. রুহুল আমিন মিজি ঘটনার পরদিন ২৪ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় আবুল কালাম বাহারকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই কাজী মো. জাকারিয়া মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

সরকারপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি ৪ বছরের অধিক সময় চলাকালীন সময়ে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় প্রদান করেন। রায়ের সময় আসামি আবুল কালাম বাহার উপস্থিত ছিলেন।

আসামিপক্ষে সরকার থেকে নিযুক্ত (এসডিএল) আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

সারাদেশ/আবির

About Author

শেয়ার করুন

Facebook Comments

আরো সংবাদ পড়ুন