1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. mshc@hotmail.co.uk : ইউকে বিডি২৪ : ইউকে বিডি২৪
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
নোটিশঃ
#ঘরে_থাকুন, নিরাপদ থাকুন! নিয়মিত হাত পরিষ্কার করুন, অন্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন, সচেতন থাকুন।

শতভাগ উৎসব ভাতার বিষয়ে আলোচনা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

  • আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১
  • ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার একটি শিক্ষক সংগঠনের আলোচনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন ডা. দীপু মনি।

তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বিপুল পরিমাণে টাকা খরচ হচ্ছে এবং এজন্য অনেক উন্নয়ন প্রকল্প সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও শিক্ষকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই শিক্ষকদের উৎসব ভাতা পাবার বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলবো। তবে, এটাও মনে রাখবেন করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কিছু উন্নয়ন প্রকল্প সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় সরকারকে বিপুল পরিমাণে টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। বহু উন্নত দেশ করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করতে না পারলেও ইতোমধ্যে আমাদের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, করোনা টিকা বিনামূল্যে মানুষ পাচ্ছে। সে বিষয়গুলো চিন্তা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের সব চাওয়া এই মুহূর্তে পূরণ নাও হতে পারে। তবে, আমাদের যে চাওয়াগুলো যৌক্তিক সেটি যেন আমরা যত দ্রুত সম্ভব পাই সেজন্য একযোগে কাজ করবো।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আর্থিক সংশ্লেষ ও কবে নাগাদ সেই অর্থ জোগান দিতে সরকার সক্ষম হবে তা নিয়ে সমীক্ষার প্রয়োজন।

শিক্ষামন্ত্রী তার মন্তব্যে বলেন, শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা না থাকলে সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা দুটোই জরুরি। সে কারণে সরকারিকরণের সুযোগ থাকলে সেটি অবশ্যই করা প্রয়োজন।

দীপু মনি বলেন, আমাদের বিপুল সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন। তাদের আর্থিক দায়-দায়িত্ব সরকার কতটা নিতে পারবে সেটি ভালোভাবে খতিয়ে দেখে তার পরেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। কাজেই, আপনাদের এ দাবির বিষয়টি নিয়ে আমি মনে করি দ্রুতই সমীক্ষা করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, সরকারিকরণের সাথে সরকারের কি পরিমাণ আর্থিক সংশ্লেষ থাকবে এবং বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সেটি করতে সরকার কতটা সক্ষম এ মুহূর্তে বা কবে নাগাদ সক্ষমতা অর্জন করবে সে বিষয়গুলো ভালভাবে খতিয়ে দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করার জন্য সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এর জন্য বড় হাতিয়ার হল শিক্ষা। সেই শিক্ষা হতে হবে নৈতিকতা সম্পন্ন। সেই সাথে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, দক্ষতা ও মানসিকতার সমন্বয় থাকতে হবে।

তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তারা যাতে পিছিয়ে না থাকে, সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে ভুল পথে পরিচালিত না হয়, সেদিকেও সজাগ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের অর্ধেক সময় দেশ নেতৃত্বহীনতায় ভুগেছিল। দেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে দিয়েছিল তারা। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যার যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে গুজব, ষড়যন্ত্র দিয়ে থামানো যাবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স-এর একাংশের সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। দল-মত নির্বিশেষে তিনি নক্ষত্রের নাম। বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই বাংলাদেশে মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার হাতেই ইসলামি ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল

About Author

শেয়ার করুন

Facebook Comments

আরো সংবাদ পড়ুন