প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যক, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সেখানে জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম বীর প্রতীক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী এইচ টি ইমামের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ মিনারে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এইচটি ইমামের দ্বিতীয় নামাজ-ই-জানাজা বাদ আছর অনুষ্ঠিত হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। এরপর ঢাকা জেলা প্রশাসন বনানী কবরস্থান প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার প্রদান করবেন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ মাঠে এইচ টি ইমামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে হেলিকপ্টারে করে মরদেহ উল্লাপাড়ার সোনাতলা গ্রামে নেয়া হয়।
বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এইচ টি ইমাম। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় হেলিকপ্টারযোগে তাকে উল্লাপাড়া নেয়া হয়। পরে সকাল ১১টায় উল্লাপাড়া আকবর আলী সরকারি কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমোডর এমএম নাঈম রহমান শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোস, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এইচ টি ইমামের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠন দুটির নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এইচ টি ইমাম মেধা ও শ্রম দিয়ে সরকারকে যেমন সমর্থন করেছেন, তেমনি করে তিনি দেশের অনেক কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রচার সেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি হাসপাতালে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, কিন্তু কাজ থেকে তিনি কখনো অবসর নেননি। এমন কর্মপাগল, কর্মনিষ্ঠ মানুষ ছিলেন এইচ টি ইমাম। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা হবে, এটা সহজে পূরণ হবার নয়।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত দক্ষ, কর্মঠ, প্রাণবন্ত মানুষ। আমরা কখনো ভাবিনি তিনি হঠাৎ করে চলে যাবেন। এই করোনাকালেও তিনি ভালোভাবে কাজ-কর্ম চালিয়ে গেছেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
Facebook Comments