দীর্ঘ সাত বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও এই অত্যাধুনিক অবকাঠামোয় নির্মিত এই হাসপাতলের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত অত্র ইউনিয়ন তথা আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষ। উদাসীন যেমন কতৃপক্ষ, উদাসীন তেমনি জনপ্রতিনিধিরাও।তবে,সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই ইদানিং বেশ সোচ্চার! শত শত লোক সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
→সাবেক ছাত্রনেতা সঞ্জয় চৌধুরী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষো জানিয়ে লিখেন….
“প্রকৃতির রুপ-যৌবন যেন ভবন গুলোর সৌন্দর্য বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। মনে হয়, বর্ষায় পানির উপর ভাসমান ইট-পাথরের কারুকার্য আর হেমন্তে সবুজের বুকচিড়ে জেগে উঠা স্বপ্নের কুঠির।
একজন স্বপ্নবাজ, কর্মবীর এবং শেখর সন্ধানী মিজানুর রহমানের (তৎকালীন জেলা প্রশাসক)প্রচেষ্টায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালে নির্মান করা হয় ২০ শয্যা বিশিষ্ট জগদল হাসপাতাল। দিরাই উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রত্যন্ত জনপদের চিকিৎসা বঞ্চিত হাজার হাজার মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠানটি স্বপ্নের চেয়ে বেশি কিছু।
নগ্ন রাজনীতি আর সংকীর্ণ মানসিকতার কবলে পরে হাসপাতালটি আজ অবধি চালু হয়নি। জনসাধারণ যখন তার প্রয়োজনের প্রতি উদাসীন হয়, দাবী আদায় করতে ব্যর্থ হয় তখন জনপ্রতিনিধিদের মানুষের কল্যানের কথা না ভাবলেও চলে!
হাসপাতালটি আর কতো এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে নির্লজ্জতা আর বঞ্চনার প্রতিক হয়ে ?”
দিরাইয়ের আরেক সচেতন নাগরিক, শামসুজ্জামান ঝুনু এ বিষয়ে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন →
“ভরা বর্ষার থৈ থৈ জলরাশি,কিংবা হেমন্তের শ্যামলীমায় মন ভরানো পরিবেশেই ঠায় দাড়িয়ে আছে সাধারনের সেবা দিতে প্রস্তুত করা ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত নয়নাভিরাম এমন পড়শী বাড়ী!
আমরা জনমদুঃখী কপাল পোড়া ভাটির মানুষের ললাটের কপাট কেনো জানি খুলে না,খুলতে চায় না।
সাত বছর হয়ে গেছে গত!
উদ্ভোধনী সভায় জনতার তালি নিয়ে সেই বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের নেতাও হয়েছেন প্রয়াত।কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানে এখনো মিলে নি ডাক্তার,সেবিকা,বৈদ্য!বঞ্চিত মানুষের হাহাকার,নাই কি কেউ এই ভাটির তল্লাটে দেখিবার?
কোকিল সাজা শুশীল,জাতি নেতা,চেতনার লাভায় উদগীরনী ভাষনে নিত্য যারা রসমঞ্জরী ছড়ায়,তারাই বা কোথায়?
মাননীয়া জয়া সেন,
আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।শুধু একটি বার সংসদ অধিবেশনে বিষয়টি প্রধামন্ত্রীর নজরে আনেন।মানুষের মৌলিক চাহিদার অপরিহার্য এমন সেবা স্থানের যথাযথ কার্যক্রম দ্রুত চালনার উদ্যোগ নিন।চেলা চামুন্ডাদের তালিতেই তুষ্টি না খুজেঁ, জনতার হৃদয়ের ভাষা বুঝোন।
না হয়,যেদিন তুলবে আওয়াজ জনতা,
তীরে ভাঙ্গা তরী রেখে
পালিয়ে যাবে,হারিয়ে চামচিকারা!
ভাটির জলে তলিয়ে যাবে,
রইবে না স্বাধের ক্ষমতা!
ধন্যবাদ।”
জগদল ইউনিয়ন তথা দিরাই উপজেলার সর্বস্থরের জনগনের দাবি অতি শিগগিরই যেন হাসপাতালটির সেবা চালু করা হয়। বিশেষ করে বর্তমান এই করোনা মহামারিতে হাসপাতালটির সেবা অতিব জরুরী৷ জগদল ইউনিয়ন তথা এলাকা বাসী যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা অন্যান্য কারনে চিকিৎসা সেবা থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত। এই হাসপালতালটিকেই তারা তাদের আলোর দিশারি ভাবছে।
স্বাভাবিক সময়ের বিলম্ব হলে সর্বস্থরের জনগন আন্দোলনে নামবেন বলে জানা যায়।
Facebook Comments