যমুনায় ওপর এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ। এরইমধ্যে সেতুর ৫৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ৫০টি পিলারের মধ্যে ২২টির কাজ শেষ। ৪৯টির মধ্যে ১৩টি সুপার স্ট্র্রাকচার বসে গেছে। সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলায় উৎসাহী সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীসহ স্থানীয়রা।
ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগের সূচনা ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে। ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটলের কারণে কমে ট্রেনের গতি। গড়ে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে চলছে। এতে সময় অপচয়ের সঙ্গে বাড়ছে সিডিউল বিপর্যয়।
এ অবস্থায় যমুনায় আরেকটি মেগা প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশেই নির্মাণ হচ্ছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু।
প্রকৌশলী অমুল্য সুত্রধর বলেন, “রেল ব্রিজে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করছি। এই ব্রিজ হলে সারা উত্তরবঙ্গসহ বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে।”
১৩টি গাডার বা সুপার স্ট্রাকচার বসানোর পর দৃশ্যমান এখন সোয়া কিলোমিটার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, “যে গতিতে কাজ চলছে তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করছি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।
সেতুটি যোগাযোগসহ উত্তরাঞ্চলে শিল্পের প্রসার ও বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।
সেতু নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।
জাতীয়/আবির
Facebook Comments