জুবায়ের আহমদ, লন্ডনঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ নাসিম আর নেই। তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন । ১৩ জুন শনিবার বেলা ১১টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্টোক করেন। কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়। সফল অস্ত্রোপচার হলেও তার মাথার ভেতরে বেশ কিছু রক্ত জমাট বাধা ছিল। স্ট্রোকের পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই ছিলেন। এরই মধ্যে পরপর দুইবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং মাতা আমেনা মনসুর। তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ। পারিবারিকভাবেই রাজনৈতিক জীবনে আসা।
মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন,দেশ এক নিবেদিত প্রান রাজনৈতিক নেতাকে হারালো যার শূন্যতা কখনোই পূরণ হবার নয়।
তাঁর বাবা কেপ্টেন মনসুর আলী যেভাবে সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে বিশ্বস্ততার সাথে দেশের জন্যে কাজ করেছিলেন তিনিও সেভাবে জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে বিশ্বস্ততার সহিত আজীবন কাজ করেছেন।
জাতি তাঁর এই অবদান সারা জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
নেতৃবৃন্দ তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
Facebook Comments